বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন

মিরপুরে ছাগলের হাটে এখনো চলছে হাসিলের নামে চাঁদাবাজি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মিরপুর ছাগলের হাটে হাসিল বা খাজনার নামে দ্বিগুণ-তিনগুণ টাকা আদায় করা হচ্ছে। পশুর ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, এটা রীতিমতো চাঁদাবাজি! জেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ইজারাদাররা গলাকাটা হাসিল নিচ্ছেন। এ নিয়ে ইজারাদার ও তাদের লোকজনের সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতার প্রায়ই হট্টগোল হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়েরের পরও বন্ধ হয়নি মাত্রাতিরিক্ত হাসিল আদায়।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখা সূত্রে জানা গেছে, সরকারি নিয়মানুযায়ী ছাগল প্রতি ৭ শতাংশ হারে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা পর্যন্ত হাসিল আদায় করা যাবে। এছাড়াও বাজারের দৃশ্যমান স্থানে টোল চার্ট টাঙানোর নির্দেশনা রয়েছে। সরেজমিনে মিরপুর ছাগলের হাটে গিয়ে দেখা যায়, ছাগল প্রতি ১৩ শতাংশ হারে ১ হাজার টাকারও বেশি হাসিল আদায় করা হচ্ছে। নেই কোন টোল চার্ট। অভিযোগ দায়ের পর থেকে রশিদে উল্লেখ করা হয়না আদায়কৃত টাকার পরিমান।

ছাগল ক্রেতা বাহুবল উপজেলার শিবপাশা গ্রামের মাওলানা লুৎফুর রহমান বলেন, আমি ২টি ছাগল ১৪ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি, ১৭০০ টাকা হাসিল দিতে হয়েছে। এই বাজারে আসলে খুবই নির্যাতিত হওয়া লাগে। আরেক ক্রেতা হাফিজপুর এলাকার শাহিন মিয়া জানান, তিনি ৬৪০০ টাকা দিয়ে ছাগল ক্রয় করে ৮৪০ টাকা হাসিল দিয়েছেন, কিন্তু রশিদে টাকার পরিমান উল্লেখ না করে শুধু পরিশোধ লিখে দেওয়া হয়েছে। বাজারে আসা অন্য আরেক ক্রেতা বলেন, এ হাটে রীতিমতো চাঁদাবাজি চলছে। আমরা এর ভুক্তভোগী। বাজারের ইজারাদার মাশরাফি ইসলাম তানভীরের পিতা বাজার পরিচালক আব্দুল মালেক অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করলেও কেন মাত্রাতিরিক্ত হাসিল আদায় করছেন? এমন প্রশ্নের কোন জবাব দেননি।

একই বিষয়ে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শামীম আহমেদ বলেন, বাহুবল ইউএনও অফিস থেকে আমার কাছে মিরপুর ছাগলের হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের বিষয়ে একটি অভিযোগের তদন্ত এসেছিলো। তদন্তে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। ফলে যার কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছিল তার টাকা ফেরত দিয়েছে ইজারাদার, একই সাথে আর অতিরিক্ত টাকা নিবেনা বলেও অঙ্গীকার করে। এত কিছুর পর আবারও তারা অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে এমন একাধিক অভিযোগ আমার কাছে এসেছে।

তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী। একই বিষয়ে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আমার কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন এবং সেখানে উল্লেখ করেছেন ইজারাদাররা অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন যে তারা যে অতিরিক্ত টাকা নিতো এখন থেকে আর নিবেন না। আমি তাকে বিষয়টি মনিটর করতে বলেছি।

 

 

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.